প্রথমতই রমজান মাসের অতি বিশেষ একটি দিকের কথা বলি।
এই মাসে আমরা ওয়াক্তমত নামাজ আদায় করতে পারি। আমাদের অনেকের ফজর নামাজ অনেক সময় কাজা হয় কারণ ভোরে না উঠতে পারার ফলে। রমজান মাসে আমাদের দিনই শুরু হয় ফজর নামাজের মধ্য দিয়ে সুতরাং নামাজ কাজা হওয়ার প্রশ্নই থাকে না!
এই রমজান মাসে আমাদের কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে,এর ফলে আমরা আরও বেশি নেকী অর্জন করতে পারব। মনে রাখতে হবে আমরা দৈনন্দিন জীবনে ভুল-ভ্রান্তি করে পাপ করছি অজস্র। আর তা যদি এতটুকু শোধরাতে চাই, তবে এই মাসটিই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
কিছু করণীয়:
১। নিয়মিত রোজা রাখা ও নামাজ পড়া (তারাবি সহ)
২। নিজের পোশাক,আচরণ, কথাবার্তা, জীবনের রুটিনে সংযম আনা।
৩। বেশি বেশি ইবাদত করা। ইবাদতের জন্য আপনি সবসময়ই ফ্রি। উদাহরণসরূপ: দূরে কোথাও যাচ্ছেন,গাড়িতে করে, নিজের ফোনটা না চালিয়ে মনে মনে জিকির করতে পারেন। অথবা বাসায় মা-বোনরা রান্না-বান্না কিংবা ঘরের কাজের সময় মনে মনে জিকির করতে পারেন (এটা আমি করে থাকি মাঝে মধ্যে)
এছাড়া পবিত্র কোর'আন আপনি সেহেরীর আগে পড়তে পারেন।
৪। নিজের সাধ্যমত দান করা। রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা সংযমের পাশাপাশি দরিদ্রদের অভাবের ফলে ক্ষুধার্ত থাকার কষ্টটা বুঝতে পারি। আর তাই রমজানে নিজে পরিবার নিজে ইফতার বা সেহেরীতে ভুরিভোজ করলেই হবে না। দরিদ্রদের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে। শ্রমজীবি মানুষদের প্রতি র্দুব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন। নিজের হেল্পিং হ্যান্ড, ড্রাইভার কিংবা দারোয়ান তার পরিবার নিয়ে ঠিকঠাক ভাবে রমজান পালন করতে পারছে কি না তা লক্ষ্য করুন।
৫। বিভিন্ন প্রকার বদঅভ্যাস তা যাই হোক না কেন বাদ দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করুন। দিনশেষে আপনারই লাভ হবে।
৬। যাকাতের আওতাভুক্ত হয়ে থাকলে যাকাত দিন। এটা গরীবের হক। মনে রাখবেন, যাকাত মানে সমৃদ্ধি। আপনার অর্থবিত্তের উপর আল্লাহর খাস রহমত নাজিল হয় যাকাত দিলে। দেশ ও দশের উপকার হয়।
৭। ইন্টারনেট,গানবাজনা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। সময়ের অপপ্রয়োগ পরিহার করুন।